এই লেখাটি বানান সংক্রান্ত সম্পূর্ণ কোনো ব্যাকরণ নয়। সামান্য সতর্কতায় যতটা সম্ভব বানানভুল এড়ানোর টিপস মাত্র। এর মাধ্যমে কারও সামান্য কোনো উপকার হলে ভালো, না হলেও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
মুহূর্ত শব্দটি লিখতে গিয়ে অনেকেই ধন্ধে পড়েন। ম-এ, নাকি হ-এ দীর্ঘ উ-কার হবে? কোনো একটা অক্ষরে দীর্ঘ উ-কার যে হবে সেটা বুঝতে পারেন, কিন্তু কোনটায় তা নিয়ে চিন্তা করতে করতে অনেকেই লিখে ফেলেন মূহুর্ত। তার মানে একটি শব্দের ভেতর দুটি ভুল। অথচ যদি মনে রাখা যায় যে রেফের আগে দীর্ঘ উ-কার বসবে তাহলে আর এই ভুলটি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। তেমনি সূর্য চূর্ণ তূর্য মূর্ত মূর্তি পূর্ত দূর্বা ধূর্ত ঘূর্ণি পূর্ণ পূর্ব পূর্বাণী পূর্ণিমা ভূর্জ মূর্খ মূর্ছনা মূর্ছা মূর্ধন্যসহ এ রকম অনেক শব্দ লিখতে গিয়েই আমাদের আর চিন্তা করতে হয় না যে হ্রস্ব উ-কার নাকি দীর্ঘ উ-কার ব্যবহার করব। আবার, পূর্ব লিখতে দীর্ঘ উ-কার কিন্তু পুব লিখতে কেন হ্রস্ব উ-কার হবে তাও স্পষ্ট হয়ে যায় যদি এই নিয়মটি জানা থাকে।
তবে সবকিছুরই মতো এখানেও ব্যতিক্রম আছে। অতত্সম, সন্ধিঘটিত বা বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না। যেমন-ফুর্তি শব্দটি এসেছে স্ফূর্তি থেকে। তাই স্ফূর্তি হলেও ফুর্তি। আবার দুঃ+গতি=দুর্গতি। এভাবে দুর্গম দুর্গন্ধ দুর্গা দুর্গেশ দুর্ঘট দুর্ঘটনা দুর্জন দুর্জয় দুর্জ্ঞেয় দুর্দমনীয় দুর্দশা দুর্দান্ত দুর্দিন দুর্ধর্ষ দুর্নাম দুর্নিবার দুর্নীতি দুর্বল দুর্বহ দুর্বার দুর্বিপাক দুর্বিষহ দুর্বৃত্ত দুর্বোধ্য দুর্ব্যবহার দুর্ভাগা দুর্ভাবনা দুর্ভেদ্য দুর্ভোগ দুর্মর দুর্মুখ দুর্মূল্য দুর্যোগ দুর্যোধন দুর্লক্ষ্য দুর্লঙ্ঘ্য ইত্যাদি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন