একই
বাড়িতে পাশাপাশি দুটো রুম।
তারই একটার নতুন
ভাড়াটে শুভ। পেশায়
সাংবাদিক। বিয়ে করেনি। তাই সংসার বলতে
নিজেই সব।
প্রথম
দিন সকালে উঠেই
মেজাজ বিগড়ে যায়
শুভর। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে নববর্ষের সঙ্গীতানুষ্ঠানের অ্যাসাইনমেন্ট সকাল আটটায়। অথচ পাশের রুমের
একটা মেয়ে গোসলখানা আটকে রেখেছে। ঢাকা শহরে
ছোটখাটো ভাড়াটেদের এই এক
অসুবিধা।
গোসলখানা খালি পেয়ে মুখহাত ধুয়ে তড়িঘড়ি করে বাইরে
বেরোয় শুভ। রিকশাস্ট্যান্ডে গিয়ে আবারও একই
ঝামেলা। একটা মাত্র
রিকশা। তাতে চেপে
বসেছে সেই মেয়েটা, যার নামটাও শুভ এ
পর্যন্ত জানে না।
রিকশা
পেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে পৌঁছতে সাড়ে আটটা
বেজে যায়। লাউডস্পিকারে ঘোষকের কণ্ঠস্বর শানা যায়,
এবার সঙ্গীত পরিবেশন করবেন অন্তরা।
অন্তরা মঞ্চে আসতেই অবাক
হয়ে যায় শুভ।
এ তো সেই
মেয়েটি, সকাল থেকেই
একটার পর একটা
ঘটনা যার প্রতি
বিষিয়ে তুলেছিল ওর মনটা।
অন্তরার গান শুনে কিন্তু মুগ্ধ হতেই হয়
শুভকে।
এরপর
দিনে দিনে ওদের
অন্তরঙ্গতা বাড়ে। হঠাত্
একদিন শুভ বলে
বসে, অন্তরা, আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মুচকি
হেসে বলে অন্তরা, আমিও যে একজনকে ভালোবাসি।
চুপসে
যায় শুভ।
কয়েক
দিন পর। লেখার
টেবিলে বসে অন্তরার কথাই ভাবছিল শুভ। এমন
সময় রুমে ঢোকে
অন্তরা। শুভ উন্মাদের মতো বলে বসে,
তোমাকে না পেলে
আমি বাঁচব না
অন্তরা।
আমিও
যে একজনকে না পেলে
বাঁচব না। বলে
অন্তরা।
আশঙ্কার কালো মেঘ আবার
ঘিরে ধরে শুভকে। ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করে, কে সেই
ভাগ্যবান?
মাথা
নিচু করে জবাব
দেয় অন্তরা, আমার সামনে
যে বসে আছে।
আনন্দে উত্তেজনায় খেই খারিয়ে ফেলে শুভ। দুহাতে কাছে টেনে নেয় অন্তরাকে। কাছাকাছি কোথা থেকে যেন সুর ভেসে আসে, মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম...।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন